BREAKING NEWS

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই – ০৩ টি বই একসাথে

 


ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই এর নাম জানতে চেয়ে অনেকে আমাদের প্রায় সময় কমেন্ট করে থাকে। যদিও বর্তমানের অধিকাংশেই বই পড়া থেকে ভিডিও দেখা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকে আবার বইকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর সেই সব আগ্রহীদের জন্যই আজকের আর্টিকেলে আমরা মোট ১১টি ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নিয়ে রিভিও করবো। আর সেই সাথে যথা-সম্ভব সেই ফ্রিল্যান্সিং বই ডাউনলোডের PDF ফাইলের লিংক সংযুক্ত করে দিবো।

আপনি যদি সিম্পলি ইন্টারনেটে Freelancing book অথবা ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই লিখে সার্চ করেন, তাহলে আপনি অনেক রিসোর্স পাবেন কিন্তু অথেনটিক এবং বাংলা ভাষী রিসোর্স খুবই কম পাবেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে যদিও পান, তাহলে খুব কম পাবেন এবং তাও সেগুলো এলোমেলো। আর এই বিধায় আজকের আর্টিকেলে আমরা বর্তমানে চলমান সবচেয়ে ভালো এবং কোয়ালিটিফুল রিসোর্স আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ভেদে কিছু বই রিকমান্ড করবো, যেগুলো দ্ধারা সত্যিকার অর্থেই একজন নিউবি ফ্রিল্যান্সার কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবে সহ তাঁর পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক সকল তথ্যগুলো জানতে পেরে উপকৃত হতে পারবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই সমূহগুলো।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই সমূহ

আজকের আর্টিকেলে আমরা সর্বমোট ১১ টি ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নেয় রিভিও করবো, যে বইগুলো একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য বেশ সহায়ক হবে। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেই সেরা ১১টি বই সম্পর্কে।

  • ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার – আল আমিন কবির
  • অনলাইন আর্নিং – আইটি বাড়ি
  • ইল্যান্স গাইডলাইন – আল-আমিন কবির
  • অথোরিটি এইড – বিল্লাল হোসেন সরকার
  • ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয়
  • হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং – জয়িতা ব্যানার্জী
  • ফ্রিল্যান্সার ডট কম – মাহবুবুর রহমান
  • The Unlimited Freelancer
  • ফ্রিল্যান্সিং গুরু PDF Download
  • ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয়
  • ইন্টারনেট থেকে আয় – ফ্রিল্যান্সার নাসিম

ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার (Freelance career) – আল আমিন কবির

ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে আপনাকে বেশ অনেকগুলো ব্যাসিক প্রশ্নে মুখে পরতে হয়, আর সেই সকল উত্তর সহ আপনার সঠিক গাইডলাইন সম্মেলিত অন্যতম একটি বই হলো ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার। যা বাংলাদেশের একজন উচ্চপদস্থ ও অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটার আল আমিন কবিরের লেখা। কোনো রকম দ্ধিধাহীনতা ছাড়াই উক্ত বইটি আপনারা পড়তে পারেন। বিশেষ করে একেবারে যারা নতুন, প্রাথমিক স্টেজে রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের হতাশা ও আগ্রহ নিয়ে থাকে নানা রকম কোনঠাসা মূলক প্রশ্ন। যেমন অনেক নতুন ভেবে থাকে, তাকে দিয়ে আধোও ফ্রিল্যান্সিং হবে কি-না আবার অনেকে চিন্তা করে ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবো, কি শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব, কোনটা সহজ হবে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি, কার কাছে সাহায্য চাইবো, একটি সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন সহ কাকে কাকে উক্ত সেক্টরে অনুসরণ করবো সহ এরকম অনেক ধরনের প্রশ্ন। আর আল আমিন কবির ভাইয়ের ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার বইয়ে উক্ত প্রশ্নগুলো সহ বেশ সুন্দর, সাজানো ও সাবলীল ভাবে উত্তরগুলো দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি একজন এই সেক্টর তথা ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন হয়ে থাকেন কিন্তু এখনো কোনো রকম টাকা জেনারেট করতে পারছেন না সঠিক উপায়ে, তাহলে একটি সঠিক গাইডলাইনের জন্য ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার (Freelance career) – আল আমিন কবির ভাইয়ের উক্ত বইটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে।

অনলাইন আর্নিং (Online Earning) – আইটি বাড়ি

ডিপলী অথবা গভীরভাবে অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে আলোচনা সম্পর্কিত সবচেয়ে সেরা বাংলা ভাষার বই হলো অনলাইন আর্নিং। একজন নতুন কিংবা মিড টার্ম ফ্রিল্যান্সারও এই বই থেকে বেশে ভালো ও যুগউপযোগী ধারণা নিতে পারে। কি আছে এই বইতে, যা একজন নতুন পড়ে উপকৃত হতে পারে? ব্যাসিক্যালি এই বইটি যারা একেবারে নতুন কিংবা যারা এখন অবধি বোঝেই নাই যে, কিভাবে অনলাইন আর্নিং করতে হয় কিংবা অনলাইন আর্ণিং জিনিসটা কি, কিভাবে কাজ করে, কারা কাজ করে ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রাথমিক লেভেলের প্রশ্ন সহ মিড লেবেলের ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও উক্ত বইটি সেরা।

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার অর্থাৎ যে সবে মাত্র উক্ত সেক্টরে পা দিলো, তাকে প্রথমে কি কি সমস্যা ফেস করতে হয়? প্রথমে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারকে যে সমস্যাটির মুখামুখি হতে হয়, সেটি হলো সে কি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবে? কি শিখবে সে? কিংবা যদিও সে টপিক সিলেক্ট করতে সক্ষম হয়েছে, তবে কিভাবে শিখবে, যে বিষয়টি নিয়ে সে দক্ষতা অর্জন করবে, তার একটি সঠিক গাইড লাইন সহ ইত্যাদি। এরকম সমস্যার সমাধান সমৃদ্ধ একটি বাই হলো আইটি বাড়ির অনলাইন আর্নিং বই।

মূলত অনলাইনে আয় করার উপায় সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে উক্ত বইয়ে। তবে আইটি বাড়ি বইটিকে ৪টি খন্ডে প্রকাশ করেছে আর আপনি যদি অনলাইনের আর্নিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে চান, তাহলে প্রথম পার্ট হতে ৪টি খন্ডই আপনাকে পড়তে হবে। এতে করে আপনি বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হবেন।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মিড টার্ম লেভেলে রয়েছেন, তারাও উক্ত বইটি পড়তে পারেন। কেননা অনলাইন আর্নিং বইয়ে আপনাদের জন্য বেশ চমৎকার চমৎকার কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে, যেগুলো দ্ধারা যেকেউ, যেকোনো ফ্রিল্যান্সার উপকৃত হবে।

ইল্যান্স গাইডলাইন (Elance Guidelines) – আল-আমিন কবির

ডেভসটিম ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের সেরা ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার পাশাপাশি এসইও এক্সপার্ট (SEO Expert) আল-আমিন কবির ভাইয়ের আরেকটি অন্যতম তথ্যবহুল বই হলো ইল্যান্স গাইডলাইন।

বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিং এ পূর্বের চেয়ে অনেক আগ্রহী এবং সচেতন। কিন্তু সবার মাঝে একটি প্রতিযোগিতা থেকেই যায়। উক্ত প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে আপনার মধ্যে অবশ্যই প্রথম হতেই সঠিক গাইড-লাইন, বিচক্ষণতা, চেষ্টা ও বেশি জানা থাকতে হবে। যত বেশি আপনার মধ্যে তথ্য সমৃদ্ধ থাকবে, সফলতার হার ততোই বাড়বে। আর যে কারণে নতুনদের জন্য আল আমিন কবিরের উক্ত বইটি হতে পারে বিশেষ কিংবা স্পেশাল বই। উক্ত বইতে আপনি শুরু হতেই একটি কমপ্লিট গাইডলাইন পাওয়ার পাশাপাশি নানার কম রিসোর্স পেয়ে যাবেন। যা কাজে লাগিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন সহ অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকতে পারবেন।

বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার ব্রোকার ওয়েবসাইট হল ইল্যান্স। তাদের বাজার বৃদ্ধির পাশাপাশি এ মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জন আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।

যেসব নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ইল্যান্সকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চান কিংবা এর মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করতে চান, আপনাদের সঠিক গাইডলাইন এবং কিভাবে শুরু করবেন, কি করবেন, কোথায় থেকে রিসোর্স পাবেন, সম্পূর্ণ সঠিক একটি গাইড লাইন আল আমিন কবির ভাইয়ের ইল্যান্স গাইডলাইন নামক বই হতে পেয়ে যাবেন।

অথোরিটি এইড (Authority Aid) – বিল্লাল হোসেন সরকার

ডিজিটাল মার্কেটিং তথা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর উপর সবচেয়ে সেরা ও তথ্যবহুল বই হলো অথোরিটি এইড (Authority Aid), যা পড়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে একজন নতুন মার্কেটার সঠিক গাইড লাইন পাওয়ার পাশাপাশি Amazon Affiliate Marketing সম্পর্কে A-Z সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবে।

বিল্লাল হোসেন সরকার হলেন একজন অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট (SEO Expert). তিনি দীর্ঘ-সময় ধরে অ্যামজন অ্যাফিলিয়েট এর সাথে রয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় নতুনদের জন্য সবচেয়ে সেরা ও তথ্যবহুল একটি পিডিএফ বই তিনি লিখেছেন। বইটি একজন নতুন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের জন্য চমৎকার একটি বই। তিনি অথোরিটি এইড বইতে দেখিয়েছেন যে কিভাবে একজন নতুন মার্কেটার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করবেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত গাইড লাইন।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয় (Freelancing and internet income)

যাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং হওয়া এবং না হওয়া নিয়ে নানা রকম দ্ধিধাহীনতা রয়েছে, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয় বইটি সময়পুযোগী বই হতে পারে। আমরা অনেকে নানা রকম কাজে ইতিমধ্যে অ্যাড রয়েছে আবার কেউ জয়েন করার জন্য অপেক্ষা করছি, এমতোবস্থায় অনেকে ভাবছে যে, আমার ফ্রিল্যান্সিং জগতে যোগ দেওয়া ঠিক হবে কি-না? এরকম প্রশ্নের উত্তর সহ যারা এখনো উত্তর পাননি যে, আধোও আপনাকে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব কি-না, কিংবা আপনি ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতে সক্ষম কি-না, এরকম প্রশ্নের উত্তর সহ নানা রকম সমস্যা জনিত দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।

কোনো একজন ব্যক্তিকে যে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সার হতে হবে, তা কিন্তু নয়, প্রত্যেকের একটি সুপ্ত প্রতিভা থাকে, আর তা সঠিক জায়গায় কাজ করে। ঠিক একইভাবে যারা ভাবতেছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তাদের জানা উচিত যে, আপনার ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত কি-না, কিংবা আপনাকে দিয়ে উক্ত কাজ হবে কি-না। এরকম প্রশ্নের উত্তর আমি মনে করি একজন নতুন আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারদের জানা অত্যান্ত দরকার। যে বিধায় আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয় বইট পড়তে পারেন।

হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং – জয়িতা ব্যানার্জী

বইয়ের নাম শুনলেই বোঝা সম্ভব যে, উক্ত বইট কাদের পড়া উচিত! হাবলুদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং যা লিখেছেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার জয়িতা ব্যানার্জী। তিনি নিজেকে নিজে হাবলু বলে উল্লেখ করেন এবং একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারকে জেন হাবলু না হয়ে সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারে, সে দিকটি তিনি উক্ত বইয়ে তুলে ধরেছেন।

এবার আসি হাবলু কারা? মূলত যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একদম নতুন এবং কিভাবে শুরু করবে, কোথা থেকে শুরু করবে এর কিছুই জানে না, মূলত তাঁরাই হলো এই হাবলু। যাদের অন্যতম আরেকটি নাম হলো ব্যাসিক লার্ণার বা প্রাথমিক লেভেলের লার্ণার।

মূলত লেখক জয়িতা ব্যানার্জী যখন ফ্রিল্যান্সিং শিখেছেন, তখন বর্তমানে মতো এতো রিসোর্স ইন্টারনেটি ছিল না পাশাপাশি নেটওয়ার্ক সহ নানা রকম এতো সুযোগ সুবিধা ছিল না। যে কারণে তাকে নানা রকম প্রতি-বান্ধকতায় পড়তে হয়েছিল।

ঠিক উক্ত কারণেই তিনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের সমস্যাগুলো এক এক করে তুলে ধরে সেগুলোর সমাধান দিয়ে হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং বইট লিখেছেন। যাতে করে বর্তমানে কেউ যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায়, তাকে যাতে হাবলু না হয়ে থাকতে হয় এবং কোথায় প্রতারিত হতে না হয়, সে দিকগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে জয়িতা ব্যানার্জী হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং বইটি লিখেছেন। আশা করি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য উক্ত বইটি বেশ সহায়ক হবে।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer dot com) – মাহবুবুর রহমান

আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন অথচ Freelancer ডট কম সাইটের নাম শুনেন না, এমন খুবই কম মানুষ পাওয়া যাবে। আপনি যদি ইন্টারনেটে সার্চ করেন যে, Top Freelancing Site in 2022 তবে আপনি সর্বপ্রথম যে সাইটটির নাম পাবেন, তা হলো ফ্রিল্যান্সার ডট কম।

এখন আমরা যারা নতুন রয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে তো অনেক সমস্যাই থাকে, যার মধ্যে দক্ষতা অর্জনের পর অন্যতম একটি সমস্যা হলো কোথায় ফ্রিল্যান্সিং করবো? আর সেই উত্তর সম্মেলিত এবং আনুসাঙ্গিক সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে মাহবুবুর রহমানের ফ্রিল্যান্সার ডট কম বইয়ে। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, বিলিভ মি, এই বইটি থেকে আপনি বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম সাইটের খুটি নাটিসহ একাউন্ট করা, প্রোফাইল সাজানো সহ ইত্যাদি বিষয়য়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক হিন্ট দেওয়া হয়েছে উক্ত বইয়ে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ডট কম সাইটটি একদম পারফেক্ট একটি বই।

The Unlimited Freelancer

মেধা, সাধ্য অনুযায়ী শ্রম, দক্ষতা থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর শেষ সময়ে এসে হতাশ হতে হয় নানা রকম কারণে। এর মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো-

  • নিয়মিত কাজ করছে, অথচ ক্লায়েন্ট পেমেন্ট করছে না কিংবা করলেও বিলম্ব সহ নানা রকম যন্ত্রণা।
  • একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের কাজ জমা দিতে পারছে না।
  • অল্প কিছু ক্লায়েন্টের মধ্যেই নিজের কাজ সীমাবদ্ধ রয়েছে, অনেক চেষ্টার পরও কাজের প্রসার ঘটানো যাচ্ছে না।
  • কাজ করেও সফল না হয়ে এখন হতাশা ঘিরে রেখেছে, এমতোবস্থায় কি করবে, তা বোঝতে পারছি না।

বস্তুত ফ্রিল্যান্সিং সবার জন্য মজাদার কিংবা উপভোগ্য বিষয় না। আবার কারো জন্য নিদারূন যন্ত্রণাও হয়ে উঠে। চাহিদা অনুযায়ী ইনকাম কম হওয়া সহ ক্লাইন্টের সমস্যা ইত্যাদি রকম সমস্যায় পড়তে হয় একজন ফ্রিল্যান্সারকে। আর তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে যদি The Unlimited Freelancerr বইট পড়তে পারে কেউ।

কম পরিশ্রম করার মাধ্যমে কিভাবে আপনি বেশ সম্মান জনক একটি এমাউন্ট আয় করতে পারেন, একাধিক ক্লায়েন্ট হেন্ডেল সহ একটি স্বাস্থ্যকর ও মান-উন্নত ব্যবসা করতে উক্ত বইটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।

তবে এখানে একটি বিষয় যে, উক্ত বইটি সম্পূর্ণ ইংরেজীতে লিখা। তবে এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা উক্ত বইট অত্যান্ত সহজ ও সাবলীল ইংলিশে লিখা। আপনি যদি ব্যাসিক লেভেলের ইংলিশ পেরে থাকেন, তাহলে আপনিও বইট পড়ে তাঁর অর্থ বোঝতে সক্ষম হবেন। সুতরাং  আপনার ফ্রিল্যান্সিং কে আরো সুখময় করতে এই বইট পড়তে পারেন। আশা করি উপকৃত হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং গুরু PDF Download

ফ্রিল্যান্সিং গুরু PDF Download বইট মূলত লেখক মো ইকরাম হোসেনের লিখা। তিনি তাঁর এই বইতে খুব সুন্দর ভাবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আউটলাইন রেখেছেন। সম্ভাব্য যে সমস্ত সমস্যাগুলো একজন ফ্রিল্যান্সার ফেস করতে পারে, সেগুলোকে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরে, তার সমাধান তিনি দিয়েছেন।

কিভাবে শূণ্য অবস্থা থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, কিভাবে কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করবেন সহ কিভাবে কাজ করে টাকা আয় করবেন সহ ইত্যাদি খুঁটি-নাটি সমস্যা এবং বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে তার বইতে তুলে ধরা হয়েছে।

যারা যারা নতুন রয়েছে, তাঁরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে উক্ত বইটি পড়ে নিলে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে পাশাপাশি যেহেতু নতুনদের জন্য অনেক সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তরগুলো সেখানে দিয়ে দিয়েছে, সেহেতু আশা করি আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হোন, এবং শিখতে চান ও দক্ষতা অর্জন করতে চান পাশাপাশি সঠিক একটি গাইডলাইন পেতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং গুরু PDF Download বইটি আপনার জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয় (Freelancing and internet income)

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয় বইট বেশ সহায়ক হবে। উক্ত বইয়ে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য সার্বিকভাবে বেশ চমৎকারভাবে গাইড করা হয়েছে।

কারো ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছা আছে কিন্তু তাঁর জন্য উক্ত সেক্টরটি সঠিক কি-না, অথবা কোন কাজটি তার জন্য পারফেক্ট হবে, সেটিও সে উক্ত বইয়ের মাধ্যমে বোঝতে পারবে। সুতরাং সর্বশেষ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বেই উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, তাহলে আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেট আয় বইটি আপনার জন্য বেস্ট হবে।

ইন্টারনেট থেকে আয় (Income from the Internet) – ফ্রিল্যান্সার নাসিম

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত এবং একইসাথে সমালোচিত একজন ফ্রিল্যান্সার হলেন ফ্রিল্যান্সার নাসিম এবং গত ২০২০ সালে সর্বপ্রথম একুশে বই মেলায় তার উক্ত বইটি অর্থাৎ ইন্টারনেটি থেকে আয় বইটি রিলিজ হয়। তার এই বইটি মূলত নতুনদের উদ্দেশ্যে লিখা এবং উক্ত বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন যে, কিভাবে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারা যায় সহ আনুসাঙ্গিক আরো অনেক কিছু।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আপনাকে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে কি-না, আধোও আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং দরকার কি-না, এরকম অনেক রকম তথ্য দিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন। মূলত নতুনদের জন্য একটি মোটিবেশন টাইপের বই হলো এটি।

একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য কতটা পরিশ্রম করতে হবে সহ নানা রকম তথ্য দিয়ে ভরপুর এই বই। তবে সার্বিকভাবে বললে নতুনদের জন্য মোটিভেশন এর জন্য অন্তত এই বইটি বেশ ভালো। আমাদের মধ্যে যারা freelancer nasim book pdf লিখে সার্চ দিয়ে থাকি কিংবা freelancer nasim book pdf, freelancer nasim book pdf free download এগুলো লিখে তাঁর বইয়ের পিডিএফ ফাইল পেতে চাই, তাদের ক্ষেত্রে বলবো, আপনারা দয়া করে অনৈতিক ভাবে বইগুলো পাওয়া হতে বিরত থাকুন। অবশ্যই বৈধ পন্থা অবলম্ব করুন এই ক্ষেত্রে।

মূলত এগুলোই হলো আজকের ফ্রিল্যান্সিং শেখার মোট ১১টি বইয়ের রিভিও। আশা করি একজন নতুন হিসেবে আপনাদের নিকট উল্লেখিত তথ্যগুলো দ্ধারা বেশ উপকৃত হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই pdf download

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই pdf download
ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই pdf download

আজকের আমরা যারা যারা এই আর্টিকেলটি, তাঁরা মূলত ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই সম্পর্কেই জানতে এসেছেন। তবে আবার অনেকে আছে, যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই এর পাশাপাশি সেই বইগুলোর pdf download ফাইলগুলোর জন্য পড়ছেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই pdf download করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তাদের নিজস্ব সাইটগুলোতে গিয়ে ডাউনলোড করতে হবে। অন্যথায় এটি একটি অনৈতিক কাজ এবং মোটেও এটি ইথিক্যাল নয়। যে বিধায় এখানে উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই pdf download ফাইল দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।

ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং pdf, ওয়েব ডিজাইন শেখার বই pdf সহ নানা রকম কিওয়ার্ড লিখে আপনারা গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন, তবে প্রাথমিক ভাবে আমরাও চেয়েছি যে, উক্ত বইগুলোর পিডিএফ ফাইলগুলো এখানে গুগল ড্রাইভে যুক্ত করে দেই। যেহেতু বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়, তাই ইচ্ছা থাকা স্বর্থেও আজকের আর্টিকেল তথা ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই তে তা যুক্ত করতে পারি নি। আবার অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংরেজি বই লিখে সার্চ করে থাকেন, তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে একটি ইংলিশ বইয়ের নাম উল্লেখ করেছি। আশা করি উপরোক্ত বইগুলো দ্ধারা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার খুব ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নিয়ে শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নিয়ে শেষ কথা

যদিও আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়েই ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে, তবে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে যে বইগুলো ম্যানশন করা হয়েছে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর ভিত্তি করে থাকা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম উক্ত বইগুলো। আশা করি, এখানে ১১টি ম্যানশনকৃত বই হতে যেকোনো একটি পড়ার মাধ্যমেও আপনি মোটামোটি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সম্মুখ একটি ধারণা পাবেন। এছাড়াও বলা চলে ছোট-খাটো হলেও সর্বমোট ১১টি বইয়ের একটি রিভিও হয়েছে। কোনো বইগুলোতে কি কি আপনি পেতে পারেন, সংক্ষিপ্তে এগুলো তুলে ধরা এবং তা থেকে উপকৃত হওয়া হলো আজকের আর্টিকেলের মূল প্রতিপাধ্য বিষয়। আশা করি লম্বা এই তথ্য নির্ভর আর্টিকেলটি দ্ধারা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার খুব সুন্দর ও স্বচ্ছ একটি ধারণা পাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই সম্পর্কে।

মূলত ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই যদিও বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক রয়েছে, তবে একজন নতুন কিংবা সদ্য এই পথে আসা ফ্রিল্যান্সার তা দ্ধারা উপকৃত হতে পারবে কি-না, তা কর্ণপাত করেই আজকে বাঁচাই করে মোট ১১টি বই রিভিও করা হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই নিয়ে প্রশ্নউত্তর

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই পড়ে আয় করা সম্ভব?

প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই পড়ে কেউই ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবে না। এটি হলো মূলত আপনাকে বুস্ট করার জন্য এবং সঠিক গাইড-লাইন প্রয়োগের জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই কোথায় পাবোা?

এখানে যে সমস্ত বইগুলো ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই হিসেবে উল্লেখ করেছি, সেগুলো আপনারা ইন্টারনেট থেকে ফ্রীতে ডাউনলোড করতে পারেন কিংবা কিছু কিছু বই রয়েছে, যেগুলো আপনারা রকমারি কিংবা এরকম ই-বুক স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

Facebook অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতে চাইছেন? সহজ পদ্ধতিটি জানুন

 যদি আপনিও একজন Facebook user, তাহলে অবশই জানেন যে “Facebook” কি এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।




Delete your Facebook profile permanently.

তবে, আজকে আমরা ফেসবুক নিয়ে একটি বিশেষ সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে কথা বলবো।

আজকে আমরা জানবো, “কিভাবে ফেসবুক আইডি ডিলিট করতে হয় ?

ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট করার এমনিতে যেকোনো কারণ থাকতে পারে।

হতে পারে, পড়াশোনা নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে বা যেকোনো অন্য ব্যক্তিগত কারণ।

তাছাড়া, কিছু দিন আগেই Facebook এর ওপরে data leak বা ডাটা চুরি নিয়ে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক হওয়ার ফলে, অনেকেই ফেসবুক এর ওপরে ভরসা করতে পারছেননা।

তাই, নিজের ফেসবুক একাউন্ট পার্মানেন্টলি ডিলেট করার, এটাও একটা কারণ থাকতে পারে।

সে যাই হোক, আমরা অনেক সহজে আমাদের ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট করে নিতে পারি।

একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম ও উপায় অনেক সহজ এবং সোজা।

তবে, এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে থাকা Facebook mobile app, ব্যবহার করে নিজের fb আইডি ডিলিট বা ডিএক্টিভেট করে নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, ফেসবুক আইডি ডিলিট করার নিয়ম এমনিতে দুই ধরণের রয়েছে।

প্রথ, আপনারা নিজের Facebook account সম্পূর্ণ ভাবে পার্মানেন্টলি ডিলিট করে নিতে পারবেন।

এবং, দ্বিতীয় প্রক্রিয়া ব্যবহার করে “Temporary Facebook Account Deactivate” করে নিতে পারবেন।

এর মানে, কেবল কিছু সময়ের জন্য আপনার ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকবে।

তবে, আপনি যখন খুশি তখন আবার ফেসবুক এক্টিভেট করে ব্যবহার করতে পারবেন।

তাই, আপনি আপনার প্রয়োজন হিসেবে, নিজের Facebook account delete বা deactivate করে নিতে পারবেন।

এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের “একাউন্ট ডিলিট” এবং “একাউন্ট ডিএক্টিভেট করা“, দুটোই মাধ্যম এর ব্যাপারে বলবো।

Facebook deactivate এবং delete এর মাঝে কি পার্থক্য রয়েছে ?

চলুন নিচে আমরা জেনেনেই, একাউন্ট ডিএক্টিভেট এবং ডিলিট করার নিয়ম গুলি কি কি এবং এদের মাঝে মূল পার্থক্য গুলি কি কি।

যদি আপনি আপনার fb একাউন্ট ডিএক্টিভেট করছেন তাহলে –

  • আপনি যেকোনো সময় নিজের একাউন্ট টি আবার এক্টিভেট (reactivate) করিয়ে নিতে পারবেন।
  • ফেসবুকে অন্যান্য লোকেরা আপনার timeline দেখতে পারবেননা।
  • আপনাকে ফেসবুকে কোনো মতেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
  • তবে, এই ক্ষেত্রে কিছু অন্যান্য তথ্য অন্যরা খুঁজে পেতে পারবেন। যেমন, Facebook messenger এ পাঠানো আপনার মেসেজ।

এই মাধ্যমে আপনার আইডি কেবল কিছু সময়ের জন্য deactivate হয়ে থাকবে, যেটাকে আবার যেকোনো সময় reactivate করিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

এবং, এই নিয়ম ব্যবহার করলে চিরতরের জন্য পার্মানেন্টলি ফেসবুক ডিলিট হবেনা।

উদাহরণ স্বরূপে,

Students রা final exam এর সময়, Facebook ব্যবহার করার থেকে দূরে থাকতে চান।

তাই, exam শেষ হওয়া অব্দি, তারা নিজের ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করে, এর থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

তাছাড়া, exam শেষ হওয়ার পর আবার account re-activate করে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন।

যদি আপনি, ডিলিট ফেসবুক একাউন্ট অপশনের ব্যবহার করছেন – 

  • এই নিয়ম ব্যবহার করলে, আবার কোনো ভাবেই একাউন্ট reactivate করানো যাবেনা।
  • একবার account deletion প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, নিজের একাউন্ট এর সাথে জড়িত কোনো রকমের information, data বা contacts ঘুরিয়ে পাবেননা।
  • Account deletion এর জন্য request দেয়ার পর, প্রায় ১৫ দিন থেকে ১ মাসের সময় আপনার কাছে থাকবে, নিজের একাউন্ট ঘুরিয়ে পাওয়ার জন্য।
  • আপনি চাইলে, সেই ১৫ দিন থেকে ১ মাসের ভেতরে নিজের একাউন্টে আবার লগইন করে, একাউন্ট ডিলিট হওয়ার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করাতে পারবেন।

তাই, যদি আপনি সম্পূর্ণ ভাবে এবং চিরকালের জন্য নিজের একাউন্ট ডিলিট করতে চাচ্ছেন, তাহলে “account delete” এর প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে,”ফেসবুক আইডি পারমানেন্টলি ডিলিট” করতে পারবেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুক আইডি ডিলিট করার নিয়ম

এমনিতে, ওপরে আমি আপনাদের যা বললাম Fb account delete করার ২ টি নিয়ম বা উপায় রয়েছে, যেগুলি আমরা মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

এখানে, account deactivation এর option রয়েছে, যেটা ব্যবহার করলে, account delete করার পরেও আবার সেটাকে ভবিষ্যতে reactivate করতে পারবেন।

এবং, “Delete account” এর option রয়েছে, যেটা ব্যবহার করলে, আপনার একাউন্ট সম্পূর্ণ ভাবে চোর কালের জন্য ডিলিট হয়ে যাবে।

এই ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে একাউন্ট আবার এক্টিভেট করতে পারবেননা।

তাই, নিচে আমি একাউন্ট ডিলিট করার যেগুলি উপায় বা স্টেপ গুলির ব্যাপারে বলবো, সেখানে দুটোই option আপনারা দেখতে পাবেন।

এবং, নিজের প্রয়োজন হিসেবে option গুলি বেছে, account delete বা deactivate করে নিবেন।

 

নিচে দেওয়া স্টেপ গুলি ফলো করে, মোবাইল থেকে ফেসবুক ডিলিট করতে পারবেন।

ফেসবুক ডিলিট করার নিয়ম
Delete you account from mobile.

Step ১. 

সবচে আগেই আপনার নিজের স্মার্টফোনে গিয়ে Facebook mobile app ওপেন করতে হবে এবং সেখানে লগইন করতে হবে।

Step ২.

এখন, আপনার ফেসবুক মোবাইল এপ এর দান দিকে একেবারে ওপরের দিকে থাকা 3 line option icon এ ক্লিক করতে হবে।

এতে, আপনার মোবাইলে একটি menu ওপেন হয়ে যাবে এবং অল্প নিচের দিকে স্ক্রল করলেই “settings & privacy” অপসন দেখতে পাবেন।

এই settings & privacy লিংক বা অপশনে ক্লিক করতে হবে।

Step ৩.

Settings & privacy অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা আবার “settings” এর একটি অপসন বা লিংক দেখবেন, যেখানে ক্লিক বা ট্যাপ করতে হবে।

Step ৪.

এখন আপনারা settings মেনুতে অল্প নিচের দিকে স্ক্রল করে গেলেই “account ownership & control” এর একটি অপসন দেখবেন যেখানে ক্লিক করতে হবে।

Step ৫.

এবার, দ্বিতীয় অপশনে আপনারা “Deactivation & Deletion” এর একটি অপসন দেখতে পাবেন যেখানে ক্লিক বা ট্যাপ করুন।

Step ৬.

শেষে, এখন আপনারা সোজা ভাবে দুটো অপসন দেখতে পাবেন।

  • Deactivate account 
  • Delete account 

তবে, কোন অপসনটি সিলেক্ট করবেন, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ওপরে নির্ভর করবে।

দুটো অপশনের কাজ আমি ওপরে আপনাদের বলে দিয়েছি।

যেহেতু, আমরা একাউন্ট সম্পূর্ণ ভাবে ডিলিট করতে চাচ্ছি, তাই “Delete account” অপশনে ক্লিক করুন এবং নিচে “continue to account deletion” অপশনে ক্লিক করুন।

Step ৭.

শেষে আপনারা একটি ফাইনাল পেজ দেখতে পাবেন যেখানে আপনাকে আপনার ফেসবুক একাউন্টের সাথে জড়িত তথ্য ও ডাটা ডাউনলোড করার অপসন দেওয়া হবে।

Download your information” অপশনে ক্লিক করে আপনার একাউন্ট এ থাকা “photos”, “videos” বা অন্যান্য ডাটা “download” করে নিতে পারবেন।

তবে, যদি আপনি প্রয়োজন মনে করেন কেবল তখন এই স্টেপ করবেন।

প্রয়োজন না হলে, ডাটা ডাউনলোড করার কোনো প্রয়োজন নেই।

Step ৮.

এখন, এই একি পেজে একেবারে নিচে দিকে, “Delete Account” এর অপসন দেখবেন।

সোজা ভাবে “delete account” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

Step ৯.

Delete account অপশনে ক্লিক করার পর, পরবর্তী পেজে আপনার থেকে আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে।

সঠিক ভাবে নিজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়ার পর, আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ডিলিট করার জন্য একটি request ফেসবুকের কাছে চলে যাবে।

Step ১০.

মনে রাখবেন, একাউন্ট ডিলিট করার জন্য সফলতা পূর্বক request পাঠানোর পর, ৩০ দিনের ভেতরে নিজের একাউন্টে লগইন করবেননা।

তবে, লগইন করলে আপনার একাউন্ট আবার re-activate হয়ে যাবে।

তাছাড়া, account deletion request করার ৩০ দিন পর, আপনার ফেসবুক প্রোফাইল সম্পূর্ণ ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।

তাহলে, ওপরে দেওয়া স্টেপ গুলি ভালো করে এপলাই করলে, আপনারা নিজের মোবাইল থেকে Facebook এর app এর মাধ্যমে account delete করতে পারবেন।

কম্পিউটার দিয়ে কিভাবে ফেসবুক আইডি ডিলিট করব

চলুন এখন আমরা সেই দ্বিতীয় নিয়ম বা উপায় এর বিষয়ে জেনে নেই, যেখানে কম্পিউটারের মাধ্যমে নিজের ফেসবুক একাউন্ট পারমানেন্টলি ডিলিট করা যাবে।

তবে, এই বিষয়টি মনে রাখবেন যে, যদি একবার একাউন্ট পারমানেন্টলি ডিলিট করে ফেলার পর, আবার কোনো ভাবেই সেটা ঘুরিয়ে পাবেননা।

তাহলে চলুন স্টেপ গুলি জেনে নেওয়া যাক।

 

নিচে দেওয়া স্টেপ গুলি ভালো করে দেখে নিন – 

ফেসবুক পারমানেন্টলি ডিলিট
Delete Facebook account permanently.

Step ১. 

সবচে আগেই, নিজের কম্পিউটারে একটি ব্রাউজার ওপেন করে তাতে ফেসবুক খুলে লগইন করে নিন।

Step ২. 

এবার, ফেসবুকের একেবারে ওপরে দান দিকে থাকা “down arrow icon” এ ক্লিক করুন। 

তারপর, আপনি কিছু options দেখবেন, যেখান থেকে “settings” এর অপসন টিতে ক্লিক করতে হবে।

 Step ৩.

এখন বাম দিকে থাকা অপসন গুলির মধ্যে, তৃতীয়তে থাকা “your Facebook information” অপশনে ক্লিক করুন। 

Step ৪.

এবার একেবারে নিচে থাকা “Deactivation & Deletion” অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

Step ৫.

শেষে, আপনারা দুটি অপসন দেখবেন, যেখান থেকে “Permanently delete account” অপশনের বাছাই করে নিচে “continue to account deletion” বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

তারপর আবার পরের পেজে “Delete account” বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

Step ৬.

এবার আপনার থেকে আপনার একাউন্ট পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য বলা হবে। আপনি সোজা ভাবে নিজের ফেসবুক একাউন্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে নিচে “continue” বাটনে ক্লিক করুন তারপর আবার “Delete account” এ ক্লিক করুন।

এরপর, হয়ে যাবে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল সম্পূর্ণ ভাবে ডিলিট।

তাহলে এটাই হলো কম্পিউটারের মাধ্যমে ফেসবুক ডিএক্টিভ করার নিয়ম বা উপায়।

একাউন্ট ডিলিট প্রক্রিয়াকে থামানো যাবে কি ?

হে অবশই পারবেন, কিন্তু কেবল তখন যদি আপনার account delete করার প্রক্রিয়াটি শুরু করার কেবল ৩০ দিন বা তার থেকেও কম সময় হয়েছে।

কারণ, একাউন্ট ডিলিট করার প্রক্রিয়াটি শুরু হওয়ার ৩০ দিন পার হয়ে গেলে, আপনি কোনো ভাবেই নিজের Facebook profile ঘুরিয়ে পাবেননা।

৩০ দিন পর আপনার ফেসবুক সম্পূর্ণ রূপে ডিলিট হয়ে যাবে।

কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট প্রক্রিয়াকে থামাবেন ?

  1. নিজের account delete করার ৩০ দিনের ভিতরে, আবার ফেসবুক একাউন্টে লগইন (login) করতে হবে।
  2. তারপর, আপনাকে cancel deletion এর একটি অপসন দেওয়া হবে, যেখানে আপনার “cancel deletion” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

বাস, এবার আবার আপনার ফেসবুক আইডি বা প্রোফাইল এক্টিভেট হয়ে যাবে।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, ফেসবুক ডিলিট কিভাবে করতে হয় সে সম্পূর্ণ বেপারটা বুঝলেন তো।

যদি কিছু না বুঝে থাকেন, তাহলে আমাকে কমেন্ট করুন, আমি আপনাদের সম্পূর্ণটা বুঝিয়ে বলবো।

তবে, আমি মনে করি, ফেসবুক ডিলিট করার নিয়ম কি, এই বিষয়টি নিয়ে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ তথ্য সঠিক ভাবে দিয়েছি।

এবং, আমি সব সময় আমার ব্লগের রিডার দের, সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় থাকি।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ট্রান্সক্রিপ্টের ওয়ার্ড ফাইল এবং পিডিএফ ফাইল নামমাত্র

 আলহামদু লিল্লাহ্।



ডাইনলোড ফাইল


৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির (ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান) কম্পোজ সম্পন্ন হয়েছে।


সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়,

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ষাণ্মাষিক মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ছক ও ট্রান্সক্রিপ্টের ওয়ার্ড ফাইল এবং পিডিএফ ফাইল নামমাত্র পারিশ্রমিকে পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

 Word ফাইল সাপোর্ট

চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি চাইলে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম আর বিষয় শিক্ষকের নামসহ রেডি করে PDF ফাইল করে দেব।


বাংলা,

ইংরেজি,

গণিত,

ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান,

বিজ্ঞান,

ডিজিটাল প্রযুক্তি,

স্বাস্থ্য সুরক্ষা,

জীবন ও জীবিকা,

শিল্প ও সংস্কৃতি,

ইসলাম শিক্ষা,

হিন্দুধর্ম শিক্ষা,

বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা,

খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

 
Back To Top
Copyright © 2014 HaSu BD24. Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates